অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চোখ ধাঁধানো মেগা প্রকল্পে বদলে গেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। গভীর সমুদ্রবন্দর, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগের কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের হাবে পরিণত হতে যাচ্ছে এ জেলা। মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার হয়ে উঠেছে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
গত দেড় দশকে এ জেলা বদলেছে বহুগুন। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে বদলে যাওয়া জনপদ এখন কক্সবাজার।
সমুদ্রের পাড় ধরে একশ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ পেরিয়ে পর্যটকদের বিস্তৃতি টেকনাফ পর্যন্ত। এ সড়কেরই একপ্রান্ত সাবরাংয়ে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সবিধা নিয়ে গড়ে উঠছে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন।
এ বছরই কক্সবাজার যুক্ত হতে যাচ্ছে দেশের রেল নেটওয়ার্কে। ঝিনুকের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক স্টেশন। রেললাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে মিয়নমারের গুনদুম পর্যন্ত যা যুক্ত হবে ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সাথে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত এবং রিফুয়েলিং হাব হিসেব গড়ে তুলতে জোরেসোরে চলছে কর্মযজ্ঞ। দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপরে রানওয়ে করা হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানী সম্প্রসারণে খুরুশকুলে নেয়া হয়েছে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প। যেখান থেকে আসবে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
মাতারবাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বছরই এখানকার বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
চট্টগ্রাম ও মোংলায় ৯ মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে না। এমন বাস্তবতায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর। যেখানে ১৫ মিটার গভীরতার বিশাল জাহাজ ভিড়তে পারবে অনায়াসে। আন্তঃ দেশীয় প্রবেশ দ্বার হিসেবে এ বন্দর কাজ করবে, বাড়বে আর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
মহেশখালিতে বাস্তবায়িত হয়েছে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এসপিএম প্রকল্প। দীর্ঘ পাইপ লাইনের মাধ্যমে মাদার ভেসেল থেকে সরাসরি তেল খালাস হবে মহেশখালির রিজার্ভারে। যাবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতেও।
সামুদ্রিক শৈবাল এবং প্রাণীরক্ষা, সেই সঙ্গে সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় বদলে যাওয়া কক্সবাজার এখন ভ্রমন পিপাসুদের প্রথম পছন্দের জায়গা।
Leave a Reply